শেখ তন্ময় ও মাশরাফিকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চান সর্বকনিষ্ঠ এমপি জন

একাদশ জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ হলেন নিজামউদ্দিন জলিল জন (২৭)। যার বাবা দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলের ছেলে জন।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে প্রথমবারের মতো শপথ নিয়েছেন। শপথ গ্রহণের পর সংসদ সচিবালয়ে সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তরুণদের উদ্দেশে ইতিবাচক রাজনীতির ইঙ্গিত দেন এই তরুণ আইনপ্রণেতা।

নিজামউদ্দিন জলিল জন বলেন, শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আসলে আমি একজন সংসদ সদস্য। শপথ নেওয়ার পরে বুঝতে পারছি আসলে এটা বড় একটা সম্মান।

এজন্য তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি নিজ নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ যে আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। যে কারণে নওগাঁবাসী আমাকে নির্বাচিত করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিয়েছেন।

জন বলেন, আমরা যারা তরুণ সংসদ সদস্য যেমন আমি আছি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় ভাই আছেন, মাশরাফি ভাই আছেন, আমরা নতুনরা সবাই একসঙ্গে বসে কাজ করবো, শিখবো। তারপর আস্তে আস্তে আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছাবো। আজকের অনুভূতিটা চমৎকার।

জন বলেন, আমি সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। তরুণদের প্রতি আমার একটা বিশেষ নজর থাকবে। আমরা যেন তাদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে পারি সেই চেষ্টা থাকবে।

নিজ নির্বাচনী এলাকা নওগাঁর বড় কাজ মাদক নির্মূল করা। আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির ধলু ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি আমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। নওগাঁ থেকে মাদক নির্মূলের জন্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করবো।

তিনি বলেন, আমরা চাই নওগাঁকে উন্নত মানের শহর করা। আমার এলাকার লোকও চান নওগাঁকে একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা হোক। আমরা তরুণরা ভিন্ন স্টাইলে রাজনীতি করতে চাই। আমরা যদি তরুণদের সামনে রেখে রাজনীতি করি তাহলে আমার বিশ্বাস তারা ভবিষ্যতের রাজনীতির প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হবেন। নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে পুরো সংসদ ভবন ঘুরে দেখছি কোথায় কি আছে। কিভাবে কি করতে হয়। আমাদের কর্মে যেন তরুণরা আমাদের প্রতি দৃষ্টি থাকে সেই লক্ষ্যেই কাজ করবো।